top of page
  • Writer's pictureamlan

পতন...অন্ধকার। গভীরতর অন্ধকার সেখানে।

কি নেবে দেহের থেকে? মাংস মেদ বসা?

প্রয়োজন আলো, আলোর আয়োজন। আলোর আয়োজন নিয়ে কখনো-কখনো এগিয়ে আসে কেউ কেউ। তবু বড়ো অপ্রতুল সে আলোর আশ্বাস। বদলে যাওয়া সময়ে এল বাহারি শব্দের মুখোশ- ‘যৌনকর্মী’। মুখোশের রং বদলে গেল নানা বিজ্ঞাপনে।

আমরা ভ্রূণ না ভ্রূণা

জন্ম দিও না মা!

মা আমার জেনে শুনে কখনো উদরে

ধরো না এ বৃথা মাংস

অযাচিত কখনো ধরো না।

আলোর আয়োজন নিয়ে কখনো-কখনো এগিয়ে আসে কেউ কেউ। তবু বড়ো অপ্রতুল সে আলোর আশ্বাস। বদলে যাওয়া সময়ে এল বাহারি শব্দের মুখোশ- ‘যৌনকর্মী’। মুখোশের রং বদলে গেল নানা বিজ্ঞাপনে। ‘মানবিকতা’, ‘নারী স্বাধীনতা’ ইত্যাদি বহু শব্দের জাগলারি চলতেই থাকে।

এগিয়ে আসে রাজনীতি, পিছিয়ে যায় রাজনীতি। সক্রিয় এনজিও কর্মীদের সক্রিয়তা বাড়ে। তবু বদল হল না ভিতরের গুমোট অভিমান।

না, আমি হবো না মোম

আমাকে জ্বালিয়ে ঘরে তুমি লিখবে না।

হবো না শিমূল শস্য সোনালী নরম

বালিশের কবোষ্ণ গরম।

কবিতা লেখার পরে বুকে শুয়ে ঘুমোতে দেব না।

আমার কবন্ধ দেহ ভোগ করে তুমি তৃপ্ত মুখ;

জানলে না কাটামু– ঘোরে এক বাসমত্মী-অসুখ

লোনা জল ঝাপসা করে চুপিসারে চোখের ঝিনুক!

দুঃখ ও হিংসা, পাশবিক অত্যাচার ও মানবিক মুখের সহাবস্থান সেখানে। সমাজ তাদের স্বীকৃতি দিতে চায়নি। স্বীকৃতি অথচ তাদের আছেই। তথাকথিত ‘নষ্টপাড়া’-র মেয়েদের নিয়ে অন্তরঙ্গ ভঙ্গিমায়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কাজ পতন । নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজ সুন্দরী শৌচাগারের টিকিট কালেক্টার ।

তোমার শিরায় থাকে ক্লেদ রক্ত সহাবস্থানে

কাম ঘৃণা কাঁধে কাঁধ, ধাবমান থাকে ধমনীতে।

তুমি কি জানবে কোন রসায়নে নারীর শরীর

দুধ জল চিরে যায়, পরমহংসীর শুদ্ধতায়!

তুমি কি জানবে নারী কীভাবে নিষ্ফলা প্রেম

রাখে তার ধমনীতে...

পতনের ট্রেলার দেখতে ক্লিক ক্রুন এই লিঙ্কেঃ

106 views0 comments

Comments


bottom of page