top of page
  • Writer's pictureamlan ganguly

Never forget anyone you have loved...

I can vouch that director David Frankel succeeds in wringing out every last tear from the audience.

এই পৃথিবীতে এমন কিছু লোক বা পরিবার থাকে যাদের Dog People / Dog Family বলে বলা যেতে পারে। ভাগ্যবশতঃ আমি সেরকমই একটি পরিবারে জন্মেছি। মানে ছোটবেলা থেকে যে পরিবারে আমি বড় হয়ে উঠেছি সেখানে 'ববি' / 'আলফা' / 'টাইগার' / 'কেলো'দের আধিপত্য সর্বদা ছিলো। আমার মানি খুব একটা বাড়িতে কোনো পোষ্য আনার ব্যাপারে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। কারণ একটাই - যদি তাদের কিছু একটা হয়ে যায় উনি সেই কষ্ট পেতে চাইতেন না। আর ওনার বারণ মানে বারণই - জানতাম আমার মিষ্টিমাসি দারুণ কুকুর প্রেমী কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি আবার আমার কাকিমাও তাই এই বারণ তাঁর ওপরও বহাল থাকলো। আমাদের বেহালার বাড়ির পাশে একটি বাড়ির কেয়ারটেকার মিঠুদার কোলে একটি দারুণ মিষ্টি ব্রাউন রং এর গোলা দেখে জানা গেলো - ওই বাড়ির জিমি-র সদ্যজাত কন্যা ওটি। আমি গিয়ে মিষ্টিমাসি আর দিদি কে ডেকে আনলাম।

ববি আমাদের বাড়ির একজন সদস্য হয়ে গেলো। তারপর ১৪ বছর ওর খুনসুটি, দুষ্টুমি, ন্যাকামি, রাগ অনুরাগ দিয়ে আমাদের বাড়িকে ববি মাতিয়ে রাখলো । ওঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হয়ে গেলো মানি-পাপা। আমরা সবচেয়ে অবাক হতাম দেখে মানির কোনও প্রিয় জিনিষ ও যখন নষ্ট করে দিতো আর মানি ওকে বোঝাবার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যেতো। কোনোদিন ওকে কাউকে বকতে দেখেনি। মারার কথা মাথাতেও আসেনি। ওঁর মুড খারাপ থাকলে আমাদের কামড়েছে কিন্তু বাইরের লোককে কখনও না। মনে আছে তখন ওঁর বেশ বয়েস বোন হয়েছে - সবাই মিষ্টিমাসিকে বলল ওঁরা খুব হিংসুটে হয়, হয়তো কামড়ে দেবে - কিন্তু ওকে মানি সারাক্ষণ বোনের পাহারায় রেখে যেতো। আমার বুড়োকাকু বা মিষ্টিমাসি কোনদিন ওকে আলাদা করে দেখেননি। ববি যে কি পরিমাণ স্নেহ আর আদর পেয়েছে বাইরের লোকেদের থেকে তা লিখে বোঝানো যাবে না।

এরপর বার্ধক্যজনিত রোগে ববি আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। বাড়ির একদম নিজের লোকের চলে যাওয়া আমার কাছে সেই প্রথম। আমি আমার দিদিভাইয়ের চলে যাওয়া দেখিনি তাই বাড়ির পরিবেশ সম্বন্ধে আমার কোনও সঠিক ধারণাই ছিলো না। কয়েকটাদিন আমাদের সারা বাড়ি যেন নিঝুম পুরী হয়ে রইলো। দিদি কয়েকদিন শিখামাসিদের বাড়ি থেকেই অফিস করলো। তার কিছুদিন পরেই আমরা সল্টলেকে চলে আসবো তাই বেশ ভারাক্রান্ত মন নিয়েই শুরু হল গোছগাছ। সল্টলেকের আসার একবছরের মধ্যে আমাদের বাড়িতে আসলো, পিস্তী। বলা ভালো পাশের বাড়ির একজন দাদা মানিকে এসে ধরলো যে এই মিক্সড ব্রীডের পাপিটিকে রেখে দেওয়ার জন্য। কারণ ও জন্মেছে একটা চোখ নিয়ে তাই ওকে কেউ রাখতে চাইছে না। ডিসেম্বারের ঘোর শীতে একটা তুলোর বল কে দেখে মানি-র কি মনে হয়েছিল ববির কথা , আমার জানা নেই - তবে জানতাম এখন থেকে পিস্তীর দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে গেলো।

এর মধ্যে দেখে ফেলেছি Hachi a dog's tale, নিন্দুকেরা যতই একে মেলোড্রামাটিক / বোরিং বলুক - আমার দারুণ লেগেছিলো। আমি The Guardian এর Cath Clarke এই রিভিঊ পড়ে বেশ রেগে গিয়েছিলাম - Hallström dishes up more classy mediocrity with this brazenly uncomplicated treat for dog lovers. Richard Gere (ageing with such elegance you half-expect him to appear in velvet monogrammed slippers) is a music professor who takes in a lost puppy. The dog is a Japanese Akita (which looks something like a super fluffy blow-dried German shepherd) and the story is tenuously based on that of a real dog in Tokyo in the 1920s. It kept up a loyal vigil outside the station used by its master for a decade after he died and was commemorated with a statue. So, man bonds picturesquely with dog before tragedy hits. Gere comes into his own for the bonding: all twinkly, hard-won wisdom, flashing just a tantalising glint of misspent youth. The dog delivers, too. Unfashionably slow, the film offers gentle observations on grief and pets (the companionship, the breed-bores new owners become, the disruption to domestic harmony and hygiene) which will no doubt have you squeezing out tears, either of boredom, or slushy emotion. Embarrassingly, for me it was the latter. আমাদের কুত্তা কি মেহেরবানিয়া (পড়ুন তেরী মেহেরবানিয়া) বা অন্যান্য কুকুর কে প্রধান চরিত্রে ভেবে যা ছবি হয় তার থেকে হাজার গুণে ভালো।

মানি চলে যাওয়ার দিন পিস্তী - সেইদিন সারাদিন এবং তারপর আরও বেশ কিছুদিন এক্কেবারে চুপচাপ হয়ে কাটালো। পিস্তী, এরপর আর নিজের জোভিয়াল সেল্ফ এ ফিরে গেলো না। কিছুদিন বাদে ও আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। পাপা আর ওকে বাইরে যেতে দিলো না । আমাদের তখনকার বাগানেই পিস্তী কে শোয়ানও হলো । অনেক বছর বাদে এবার হাজির হয়েছে আলাপী। আমাদের সেলিম কাকু ওকে নিয়ে এসেছে। মাত্র দেড়মাস বয়েস। তাই সবাই যেন এই সদালাপী "মেয়ে"টিকে কোলে নিতে না পারে তার জন্য একটা বড় এনক্লোজার আনা হয়েছে। কিন্তু হলে কি হবে এতোগুলো যার কাকু আর পিসি তারা ওখানে ওকে রাখলে তো। বেশির ভাগ সময়েই সে এর ওঁর সঙ্গে কাটাচ্ছে। অনেকদিন বাদে আবার কেউ আমায় দেখলে সাত সকালে এতো খুশি হচ্ছে।



25 views0 comments

Related Posts

See All

Comments


bottom of page